১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। বিশ্ব ইজতেমা মুসলিম বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশ। এটি বাংলাদেশে প্রতিবছর আয়োজন করা হয়, যেখানে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশ নেন। ইজতেমা সাধারণত দুই পর্বে বিভক্ত থাকে। প্রথম পর্ব শেষে দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়, যা আরও বেশি লোকের সমাগম ঘটায়। ২০২৫ সালের ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ২০২৫ কবে অনুষ্ঠিত হবে?
- ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব সাধারণত জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
- ২০২৫ সালের ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের নির্ধারিত তারিখ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।
- তারিখ নির্ধারিত হলে এটি সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ইজতেমার স্থান
- বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়।
- বিশাল এলাকাজুড়ে মুসল্লিরা অবস্থান নেন এবং ধর্মীয় আলোচনা ও ইবাদতে অংশগ্রহণ করেন।
ইজতেমার প্রধান কার্যক্রম
- ধর্মীয় বয়ান ও উপদেশ
- ইসলামিক শিক্ষা ও দীক্ষা
- দোয়া ও মোনাজাত
- মুসলিম উম্মাহর কল্যাণের জন্য বিশেষ দোয়া
- তাবলীগ জামাতের দাওয়াতি কার্যক্রম
ইজতেমার বিশেষ আকর্ষণ
- লাখ লাখ মুসল্লির সমাগম
- বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের অংশগ্রহণ
- ধর্মীয় আলোচনার পাশাপাশি ব্যক্তিগত আত্মশুদ্ধির সুযোগ
- ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও অনুশীলন
- বিশাল পরিসরে আয়োজিত সম্মিলিত ইবাদত
যাতায়াত ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
- সরকার ও প্রশাসন বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
- পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকে।
- মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য বিশেষ যানবাহনের ব্যবস্থা রাখা হয়।
ইজতেমায় করণীয়
- পর্যাপ্ত খাবার ও পানীয় সঙ্গে রাখা
- প্রয়োজনীয় ওষুধ ও জরুরি সামগ্রী সঙ্গে নেওয়া
- পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
- অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকা
- ইজতেমার নিয়ম ও শৃঙ্খলা মেনে চলা
ইজতেমার গুরুত্ব
- এটি মুসলিম উম্মাহর জন্য বৃহৎ ধর্মীয় একত্রিকরণ।
- আত্মশুদ্ধি ও ইসলামের মূলনীতি শেখার সুযোগ দেয়।
- বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করে।
- শান্তি, সম্প্রীতি ও ইসলামী মূল্যবোধের প্রচার ঘটে।
ইজতেমায় আসার আগে প্রস্তুতি
- আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে প্রস্তুতি নেওয়া
- হালকা পোশাক ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সঙ্গে রাখা
- পরিবারকে জানিয়ে রাখা
- ইজতেমা মাঠে নির্ধারিত স্থানে থাকার পরিকল্পনা করা
প্রয়োজনীয় তথ্য
- ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে কোনো নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই।
- বিনামূল্যে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
- ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে নির্ধারিত যানবাহন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs)
১. ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব কারা আয়োজন করে?
ইজতেমা মূলত তাবলীগ জামাতের উদ্যোগে আয়োজিত হয়, তবে সরকার ও প্রশাসনের সহায়তায় এটি পরিচালিত হয়।
২. ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য কোনো ফি দিতে হয়?
না, এটি একটি সম্পূর্ণ ফ্রি ধর্মীয় সমাবেশ।
৩. ইজতেমায় মহিলাদের জন্য ব্যবস্থা আছে কি?
প্রথাগতভাবে, ইজতেমা মূলত পুরুষদের জন্য আয়োজন করা হয়। মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয় না।
৪. ইজতেমার প্রধান আকর্ষণ কী?
ধর্মীয় আলোচনা, দোয়া, মোনাজাত এবং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা এটির প্রধান আকর্ষণ।
৫. ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে কারা অংশ নেন?
বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা দ্বিতীয় পর্বে অংশগ্রহণ করেন, সাধারণত নির্দিষ্ট অঞ্চলভিত্তিক ভাগ করে অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচন করা হয়।
৬. ইজতেমায় কীভাবে যাব?
ঢাকা ও আশেপাশের এলাকা থেকে ট্রেন, বাস ও নৌপথে যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকে। বিশেষ ট্রেন সার্ভিসও চালু করা হয়।
৭. ইজতেমার সময় বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা কেমন?
সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন বিদ্যুৎ ও পানির বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবীরা সহযোগিতা করে।
৮. ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে কী বিশেষ কিছু ঘটে?
দ্বিতীয় পর্বেও প্রথম পর্বের মতোই কার্যক্রম পরিচালিত হয়, তবে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা আরও বেশি হয়ে থাকে।
৯. ইজতেমায় বিদেশি মুসল্লিরা কীভাবে অংশ নেন?
বিদেশি মুসল্লিরা বাংলাদেশে আগমন করে ইজতেমায় অংশ নেন। তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়।
১০. ইজতেমার শেষে কী হয়?
ইজতেমার শেষ দিনে বিশেষ মোনাজাত করা হয়, যেখানে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়।