কোটা পদ্ধতিতে প্রাথমিকের ৬ হাজার ৫৩১ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে বাতিল

হাইকোর্টে রোববার নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে!

বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে গত কয়েক বছর ধরে ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছিলেন। তবে সম্প্রতি হাইকোর্ট এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন, ফলে নিয়োগটি বাতিল করা হয়েছে।

হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) জানিয়েছে, নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে আদালতের এই রায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সমাজে, বিশেষ করে শিক্ষক প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকদের মধ্যে। কোটা পদ্ধতি নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের মধ্যে এই রায়ের প্রভাব পড়েছে এবং সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রতিবাদ ও সমর্থন উভয়ই এসেছে।

এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী এবং সমাজের সচেতন মহল থেকে কোটা পদ্ধতির বাতিলের প্রতি সমর্থন জানানো হয়েছে। তারা মনে করছেন, কোটা পদ্ধতি কখনোই যথাযথ নয়, এবং এটি সাধারণ মানুষের জন্য একে অপরকে সুযোগের ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে।

আদালতের রায় অনুযায়ী, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, এই রায়ের পরবর্তীতে সরকারের সিদ্ধান্ত এবং নতুন নিয়োগ পদ্ধতির ব্যাপারে কবে এবং কীভাবে কার্যক্রম শুরু হবে, তা নিয়ে আরও পরিষ্কারতা আসবে।

এদিকে, শিক্ষকদের সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলোও দাবি করছে, তারা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে একমত, কিন্তু বিদ্যমান প্রার্থীদের সুরক্ষা এবং পূর্ববর্তী চেষ্টার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।

এই পরিস্থিতিতে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত প্রার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে, এবং এটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য এক নতুন দিক নিয়ে আসতে পারে।

মন্তব্য করুন