আজ আরবি জ্বিলকদ মাসের কত তারিখ? জ্বিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৪ (১৪৪৫ হিজরি)

আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ আপনি কি তা জানতে চান? অথবা জিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৩ (১৪৪৫ হিজরি) অনুসন্ধান করতেছেন? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয়ে থাকে তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। অনেকেই আজ জিলকদ মাসের কত তারিখজিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৩ সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ। 

আরবি ক্যালেন্ডা ১৪৪৫হিজরি অনুযাই আজকের তারিখ ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

আপনারা অনেকেই জিলকদ নামের অর্থ কি তা জানতে চান? জিলকদ শব্দটি এসেছে আরবি ভাষায় জুলকাআদাবা থেকে যার অর্থ হলো বসা, স্থির হওয়া, কিংবা বিশ্রাম করা। আরবি, উর্দু ও ফারসি জিলকদ মাসকে জুলকা আদাহ বলা হলেও বাংলায় এটি জিলকদ মাস হিসাবে ব্যাপক পরিচিত ও ব্যবহারিত। 

জিলকদ মাস হল পবিত্র চারটি মাসের মধ্যে একটি। তাই জিলকদ মাসকে ইবাদত বন্দিগী মাস বলা হয়। এই মাসের পরের মাস মুসলিম উম্মাহদের বিশেষ ইবাদত হজের মাস। জিলকদ মাস কে বিশ্রাম মাস বলা হলেও মুসলমানদের এই মাসে বিভিন্ন ধরনের রোজা পালন করতে হয়। তাই আজ জিলকদ মাসের কত  তারিখ বা জিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার সম্পর্কে জেনে থাকা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জরুরি। কারণ তারিখ না জানলে কোন দিন কোন রোজা করবেন সে সম্পর্কে জানতে পারবে না। 

আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ ?

ইসলামিক ক্যালেন্ডারের ১১তম মাস হল জিলকদ। আর এই মাসটি ইসলামিক ক্যালেন্ডার এর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস হিসাবে বিবেচিত যা অত্যাধিক তাৎপর্য এবং ব্যক্তিগত বৃদ্ধির সুযোগে পরিপূর্ণ রয়েছে। জিলকদ মাস মুসলিম জন্য তাৎপর্যপূর্ণ গুরুত্ব বহন করে। কারণ এটি হিজরী বার্ষিকী পূর্বের মাস। মক্কা থেকে মদিনায় যখন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম হিজরত করেছিলেন সেই ঘটনাবলী থেকে এই ইসলামিক ক্যালেন্ডার এর সূচনা হয়েছিল। তাই এটি ইসলামের ইতিহাসে টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

জিলকদ মাস প্রথম দশ দিন কে বিশেষ শুভ বলে মনে করা হয়। তাই অনেক মুসলমান এই সময় অতিরিক্ত ইবাদত ও উপাসনা কাজে মগ্ন থাকেন। এই মাসের ২৭ তম দিনটিকে বিশেষ ভাবে কল্যাণকর দিন হিসেবেও বিশ্বাস করা হয়। তাই ধর্মপ্রাণ মুসলমান এই দিনে রোজা পালন করেন এবং মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা করেন। জিলকদ মাস কে আত্মার পরিশুদ্ধতা করার মাসও বলা হয়। তাই ধর্মপ্রাণ মুসলিমগণ তাদের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার জন্য মহান আল্লাহ তালার দরবারে প্রার্থনা ও তার পাপের জন্য ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করেন। 

 জিলকদ মাসের কত তারিখ?

আমরা সকলে জানি আরবি মাস গণনা করা হয় চন্দ্রের উপর তাই আরবি পঞ্জিকাকে চন্দ্র মাস হিসেবে ধরা হয়। প্রত্যেক মুসলিমদের উচিৎ আজ আরবি মাসের তারিখ কত? তা জানা। আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা জিলকদ মাসের আজ কত তারিখ সে সম্পর্কে জানতে চান। কারণ জিলকদ মাসের রোজা পালন করার জন্য তারিখ জানা বিশেষ প্রয়োজন। ধর্ম প্রাণ মুসলিমদের জন্য বাংলা বা ইংরেজি বছরের মত আরবি বছরের ক্যালেন্ডার ও তারিখ জানা গুরুত্বপূর্ণ।

আজকে জিলকদ মাসের কত তারিখ ?

উওরঃ আজকের তারিখ ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

তাই আমরা আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ তা একবার উপরে জানিয়ে দিয়েছি। তারপরও আপনাদের বুঝানোর সুবিধার্থে নিম্নে জিলকদ মাসের কত তারিখ দেওয়া হল। এছাড়াও আপনারা ক্যালেন্ডার থেকে দেখে নিতে পারবেন। 

জিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৪ ( ১৪৪৫ হিজরি)

ইসলামিক পঞ্জিকার তারিখ গুলো প্রতি বছরে পরিবর্তন হয়। তাই জিলকদের সঠিক তারিখ গুলো চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। তাই ইসলামিক ক্যালেন্ডার কে একটি চন্দ্র ক্যালেন্ডার বলা হয়। যার অর্থ হল মাস গুলি চাঁদের চক্রের উপর ভিত্তি করে গঠিত হয়। এবং প্রতিটি মাসের দৈর্ঘ্য ২৯ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে পরিবর্তন হয়। 

জিলকদ মাস অনুযায়ী বিভিন্ন চন্দ্রের উপরে বিভিন্ন ফজিলত রয়েছে। আপনি যদি বারোটি চন্দ্রের ফজিলত ও এবাদত সম্পর্কে জানতে চান এবং সেই অনুযায়ী এবাদত করতে চান? তাহলে আপনাদের অবশ্যই আরবি পঞ্জিকা জানতে হবে। এবং সেই অনুযায়ী এবাদত করতে হবে। এছাড়াও একজন মুসলিম হিসেবে এ ধরনের ফজিলতপূর্ণ এবাদত কখনোই এড়িয়ে চলা উচিত নয়।

আরবি জিলকদ মাস শুরু হয় অর্ধ চন্দ্রকার দেখার সঙ্গে এবং তা ২৯ বা ৩০ দিন স্থায়ী হয়। সাধারণত ইসলামিক ক্যালেন্ডার মুসলিম বিশ্বে ব্যবহৃত হয়। তাই অনেক পশ্চিমা দেশে ব্যবহৃত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার থেকে জিলকদ মাসের তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। জিলকদ মাস প্রথম ১০দিন কে বিশেষ শুভ বলে মনে করা হয়। তাই অনেক মুসলমান এই সময় অতিরিক্ত ইবাদত ও উপাসনা কাজে মগ্ন থাকেন।

আপনারা অনেকে রয়েছেন জিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার অনুসন্ধান করেন? তাই আপনাদের জন্য জিলকদ মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৪(১৪৪৫ হিজরি) নিম্নে দিয়েছি।

জিলকদ মাসের আমল 

জিলকদ মাসে অনেক তাৎপর্য ও গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে যেগুলো প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পালন করা উচিত। এই মাসটি পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার মধ্যবর্তী মাস। জিলকদ মাসে ইসলামের প্রাথমিক যুগে সকল প্রকার যুদ্ধ মহান আল্লাহ পাকের আদেশে বন্ধ থাকতো। তাই জিলকদ মাস কে বিশ্রামের মাস হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। 

জিলকদ মাসকে বিশ্রামের মাস বলা হলো এ মাসে কিছু তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নেই জিলকদ মাসের আমল সমূহ।

১। জিলকদ মাসের ১,১০,২০, ২৯ ও ৩০ তারিখ রোজা পালন করা।

২। জিলকদ মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামে এর বীজের রোজা পালন করা।

৩। বৃহস্পতি ও সোমবার সাপ্তাহিক সুন্নত রোজা পালন করা।

৪। যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে ওমরাহ পালন করা।

৫। কোরআন তেলাওয়াত করা ও সালাতুল তাসবিহ আদায় করা।

৬। হজ প্রস্তুতি গ্রহণ করা। 

৭। কোরবানির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা। 

জিলকদ মাস কে আত্মার পরিশুদ্ধতা করার মাস হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এ কারনে  ধর্মপ্রাণ মুসলিমগণ তাদের আত্মাকে পরিশুদ্ধ ও মহান আল্লাহ তালার রহমত পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন। 

হিজরী ক্যালেন্ডার তৈরি করেন কে?

অনেকের মাঝে প্রশ্ন রয়ে যায় যে হিজরি ক্যালেন্ডার কে আবিষ্কার করেছেন? আরবি হিজরী ক্যালেন্ডার আবিষ্কার করেন ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী রাঃ। তিনি চাঁদের ওপর নির্ভর করে হিজরী পঞ্জিকা এবং তার তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। আরবি হিজরী ক্যালেন্ডার ১২ মাস হিসেবে গঠিত। কারণ মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করেছেন আরবি হিজরী বছর ১২ টি মাস নিয়ে গঠিত হবেন। তাই আরবি পঞ্জিকার ১২ টি মাস নিয়ে গঠন করা হয়।

মন্তব্য করুন